সোহেল রানাঃ
বাগমারা প্রতিনিধি:
রাজশাহী জেলার বাগমারা উপজেলার আউচপাড়া ইউনিয়নের মির্জাপুর বিরহী গ্রামে দিন মজুর মো:মোজ্জাফ্ফর হোসেনের একমাত্র সম্বল দোকান ঘর যেখানে চা ও অন্যান্য জিনিস বিক্রয় করে সাত সদস্যের পরিবারের মুখে আহারের যোগান হতো যেখান থেকে সেটাও রাতের অন্ধকারে আগুন দিয়ে ভষ্ম করে দিয়েছে দুর্বিত্তরা।
বুধবার (১সেপ্টেম্বর) দিনগত রাতে বাগমারা উপজেলার মির্জাপুর বিরহীগ্রামের হাসেন আলীর ছেলে মোজাফফর হোসেন প্রতিদিনের ন্যায় দোকানের কেনাবেচা শেষে দোকান বন্ধ করে বাড়ি গিয়ে ঘুমায়।গভীর রাতে দুর্বিত্তরা আগুন লাগিয়ে ভষ্ম করে দেয়।সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়,প্রায় দুইকাঠা জমির উপর টিনের চালা ও কাঠের ঢোক স্থাপন করে ব্যবসা চালিয়ে আসছিল।গত কাল বুধবার দিবাগত রাতে তার সেই শেষ সম্বল টুকু দুর্বিত্তরা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়।ঘটনাস্থলে দেখতে আসা জনতার সাথে কথা বলে জানা যায়,বুধবার (পহেলা সেপ্টেম্বর)সকাল আনুমানিক সাড়ে নয় ঘটিকার সময় মোজাফফর ও তার বাবা রাজশাহীর সিটি হাটে গরু কেনার উদ্দেশ্যে বাড়ী থেকে মোটরসাইকেল যোগে রাজশাহী সিটির হাটে যাওয়ার সময়
হাফিজ মাস্টারের বাড়ির কাছে পাকা রাস্তা সংলগ্ন জায়গায় পৌছালে হাফিজ মাস্টারের নেতৃত্বে ৭/৮ জন মিলে বাবা ও ছেলের গতি রোধ করে।
হাশুয়া, চাকু, লোহার রড, চাপাতি, চাইনিচ কুড়াল, সহ দেশীও অস্ত্র দেখিয়ে তাকে মারধর করে। প্রানে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে তার কাছ থেকে গরু কিনার জন্য এক লক্ষ পঁয়ষট্রি হাজার টাকা ছিলো সে, টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।
এসময় তার চিৎকারে আশে পাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে। আশেপাশের লোকজন তার কাছে ছুটে আসলে ছিনতাইকারী ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এর পর ঐ দিনই মাগরিবের নামাজ অন্তে মোজাফ্ফর তার কাজের মাহাজনের কাছে টাকা নিতে বিষহারা বাজারে গেলে একই সন্ত্রাসী বাহিনীর লোকজন সহ ভাড়াটিয়া বাহিনী লেলিয়ে দিয়ে মোজাফফরকে আক্রমন করে।সে প্রান ভয়ে পালিয়ে প্রানে রক্ষা পায়।বিষয়টি হাট গাঙ্গোপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র ও বাগমারা থানায় জানানো হয়েছে।এরপর তারাই আবার গভীর রাতে ঐ মোজাফফর হোসেনের সংসার চালানোর একমাত্র অবলম্বন দোকান মালামাল সহ পুড়িয়ে ভষ্ম করে দেয়।এ বিষয়ে হাট গাঙ্গোপাড়া তদন্ত কেন্দ্রের অফিসার ইনচার্জ রফিকের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন,আমি বিকেলে যাবো।গিয়ে দেখে শুনে ব্যবস্থা করবো।এ বিষয়ে মোজাফফর হোসেনের মা,বউ ছেলের সাথে কথা বলে জানা যায়,এরা ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক।এমন কোন খারাপ কাজ নাই তারা করতে পারেনা।তারা আরো বলেন,হাফিজ মাস্টারের বড় ভাই সুলতান মাহমুদ উপ সচিব ছিলেন।এই ভাইয়ের আশ্রয় প্রশ্রয়ে হাফিজ সহ তার ভাইয়েরা দীর্ঘ দিন এই এলাকার মানুষের ক্ষতি সাধন করে আসছে।এগুলোর সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচার চাই।মামলা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে বলেন,এখনও হয়নি থানায় মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।