করোনা মহামারিতে দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার পর গেলো ১২ সেপ্টেম্বর খুলে দেওয়া হয়েছিল। কোভিড সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় আবারও দুই সপ্তাহের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হলো স্কুল-কলেজসহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছিল। এরপর ১৭ মার্চ সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করা হয়। সেবারও প্রথমে দুই সপ্তাহের ছুটি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি খারাপের দিকে যেতে থাকায় ২৩ দফায় সে ছুটি বাড়াতে হয়। এরপর গেলো বছরের ১২ সেপ্টেম্বর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছিল।
স্কুলের পরিচিত জীবন হারিয়ে, বন্ধুদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় শিশুর মানসিক চাপ বাড়তে পারে
করোনাকালে স্কুল বন্ধ থাকায় শিশুদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়। অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে শ্রেণিকক্ষে অনুপস্থিতির ঘাটতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব নয়। পরিচিত জীবন হারিয়ে, বন্ধুদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় শিশুর মানসিক চাপ বাড়তে পারে।
২০২০ এর অক্টোবরে চিলড্রেন অ্যান্ড ইয়ুথ সার্ভিসেসের ইমপ্যাক্ট অব কোভিড-১৯ প্যানডেমিক অন দ্য মেন্টাল হেলথ অব চিলড্রেন ইন বাংলাদেশ: আ ক্রস-সেকশনাল স্টাডি থেকে জানা গিয়েছিল কোভিডের কারণে স্কুল বন্ধ থাকায় শিশুরা বিষণ্নতা, উদ্বেগ এবং ঘুমের সমস্যায় ভুগছিল। মাঝারি ও গুরুতর মানসিক সমস্যার হার যথাক্রমে ছিল ১৯ দশমিক ৩ ও ৭ দশমিক ২ শতাংশ।
করোনাকালে স্কুল বন্ধ থাকায় শিশুদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়
এবার স্কুল দুই সপ্তাহের জন্য ছুটি দেওয়া হয়েছে। হয়তো অল্প সময়ের বন্ধ শিশুর মানসিক বিকাশে বাধা হতে পারবে না। তারপরেও অভিভাবকদের সচেতন থাকতে হবে। শিশুরা যেনো বাসায় থাকতে থাকতে হাঁপিয়ে না উঠে, সে দিকটায় খেয়াল রাখতে হবে। তাদের স্বাভাবিক জীবনযাপনে কোনো ছন্দপতন যেনো না হয়। মা-বাবারা আরেকটু বেশি সময় কাটাবেন সন্তানদের সঙ্গে।
অনলাইনে ক্লাস ও অ্যাসাইনমেন্ট করার পাশাপাশি শিশুদের বই পড়া, খেলা, ছবি আঁকা, বাগান করাসহ নানা ধরনের কাজে সক্রিয় রাখতে হবে। ইলেকট্রনিক ডিভাইসের ওপর তাদের নির্ভরশীলতা কমাতে হবে। সেজন্য মা-বাবাকে ল্যাপটপ বা স্মার্টফোনে সময় কম কাটাতে হবে। কারণ শিশুরা বড়দের দেখেই শেখে।
Leave a Reply