রাজশাহীর মানবিক পুলিশ কমিশনার
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
প্রথম থেকে করোনা কিংবা কোভিড-১৯ নামে এক ঘাতকের আঘাতে পৃথিবী এখন যেন জম্বি গ্রহে পরিনত হয়েছিল । পূর্ব থেকে পশ্চিম কিংবা উত্তর থেকে দক্ষিণ, পুরো গ্রহটাই যেন আতংকে আচ্ছন্ন। আপন মানুষগুলোও যেন পর হয়ে গিয়েছিল ঠিক তখনি মানবিক হয়ে পাশে থাকেন
তাদের মধ্যে অন্যতম একজন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের সম্মানিত পুলিশ কমিশনার জনাব মোঃ আবু কালাম সিদ্দিক।
রাজশাহীতে করোনা দূর্যোগের মধ্যেই পুলিশ কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহন করে সম্মুখ যোদ্ধা হিসেবে নিজেকে ও নিজের পুলিশ বাহীনিকে আত্মনিয়োগ করেছেন তিনি। রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের বিভিন্ন এলাকায় একধিকবার আপামর জনতার মাঝে সুরক্ষা সামগ্রী মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, সাবান, গ্লাভস ও পিপিই বিতরণ করেছেন তিনি। শুধু তাই নয় শীতে নিজে উপস্থিত থেকে পবা,শাহমুখদুম, কাশিয়াডাঙ্গা, কাটাখালী অঞ্চলে প্রায় ১০ হাজার শীতবস্ত্র বিতরন করেছেন । করোনা ও তীব্র শীতকে উপেক্ষা করে পুলিশ ও জনতার মাঝেই স্বাচ্ছন্দে কাজ করে চলেছেন এই মানবিক পুলিশ কমিশনার।
আইন-শৃংখলা পরিস্থিতিও কঠোর হাতে দমন করেছেন তিনি। রাজশাহীতে অপারেশন কন্ট্রোল এ্যান্ড মনিটরিং সেন্টার, কিশোর গ্যঙ্গ উৎখাত, ছিনতাইকারী দমন, অপহরন চক্র নিধন,আন্তর্জাতিক স্বর্ন চোরাচালান সিন্ডিকেটের মুখোশ উন্মোচন, মাদক নির্মূলসহ অসংখ্যা অপরাধ দমনে প্রশংষিত হয়েছেন রাজশাহীর আপামর জনগন ও সুশীল সমাজের মাঝে।
মাদকাসক্ত পুলিশের বিরুদ্ধেও নিয়েছেন কঠোর অবস্থান। তার উদাহরণ
৯ পুলিশ সদস্যকে জুয়া খেলার অপরাধে গ্রেফতার পূর্বক বরখাস্থ করার ব্যবস্থা নেন তিনি। একজন মানবিক পুলিশ অফিসার হওয়ার সাথে সাথে অপরাধ দমনেও তার জুড়ি মেলা ভার।অবশ্য রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের ইতিহাসে এমন দৃষ্টান্ত নিতান্তই বিরল।
উল্লেখ্য যে, প্রায় দেড় যুগ আগেও তিনি রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার হিসেবে অত্যান্ত সুনামের সাথে রাজশাহীতে চাকুরী করে গেছেন।
তবে আইন শৃংখলা পরিস্থিতির সার্বিক বিষয়ে বলতে গিয়ে রাজশাহী শহর রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের অন্যতম নেতা জামাত খান বলেন- আমাদের প্রত্যাশা, পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিকের মত ভবিষ্যতেও পুলিশ যেন এমন মানবিক গুনাবলীর দৃস্টান্ত স্থাপন করতে পারে সেটিই আমাদের প্রত্যাশা।
ফিরে দেখাঃ
কর্মজীবনেও তিনি সফল যেভাবে
পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক ১৯৯৮ সালে ১৭তম বিসিএস-এ সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন। তিনি তার বর্নাঢ্য চাকুরী জীবনে এএসপি হিসেবে নেত্রকোনা, হাটহাজারী সার্কেল, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ, র্যাব, এসি (সচিবালয়) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্পেশাল ব্রাঞ্চ,পুলিশ সুপার (CO) (ইউএন মিশন) কসোবো মিশন ইভেষ্টিগেশন মনিটর, পুলিশ সুপার (CO) দারফুর মিশন (এফপিইউ), কো-অর্ডিনেটর এন্ড লিয়াজো অফিসার, ডিসি (ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ) এআইজি – পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স এবং অতিরিক্ত ডিআইজি ঢাকা রেঞ্জে গুরুত্বপূর্ন দায়িত্ব পালন করেন।