শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজের অনিয়মের প্রতিবাদে ভুক্তভোগী সংবাদ সম্মেলন
নিজস্ব প্রতিনিধি
আমি একজন ডাক্তার । অনৈতিক ও অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে আমি গুরুতর আহত হয়েছি। পাওনা টাকা চেয়ে হেনস্থার শিকার হয়েছি।
এজন্য শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজের এসকল অনিয়মের প্রতিবাদে আজ সংবাদ সম্মেলন করতে
বাধ্য হলাম । আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমি ডা, রবিন হাসান হাবিব বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) থেকে ২০২০ সালে এমবিবিএস সম্পন্ন করেছি । শেবাচিম ৪৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। আমার বাড়ি নগরীর খরখরি এলাকায় অবস্থিত শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজের পাশে পান্থপাড়া গ্রামে। শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকের অনুপস্থিতিতে চিকিৎসকের সিল সই জালিয়াতি করে রােগীদের সাথে শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজ রােগীদের সাথে প্রতারণা করে । যা আমি জানতে পেরে প্রতিবাদ করি। এরপর আমাকে নারী কেলেঙ্কারিতে ফাসাতে চেষ্টা করে । আমার পাওনা বেতন পরিশােধ না করে আমাকে শােকজ করে। আমাকে চাকরিতে বহাল
করতে অথবা চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়ার জন্য বেতনের জন্য কোর্ট থেকে লিগ্যাল নােটিশ
পাঠালেও বিষয়টি আমলে নেয়নি তারা।
গতদিন আমি অনলাইনে একটি ব্রেসলেট অর্ডার করেছিলাম এবং শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজের
ঠিকানায় তার ডিলেভারি আসে। আমি সেটি নিতে গেলে আমাকে অন্যায় ভাবে মারধর করে কলেজ
কর্তৃপক্ষ। সহজভাবে বলতে গেলে, প্রতিষ্ঠানটির দেয়া ভুয়া রিপাের্টের প্রতিবাদ করায় আমাকে অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে এবং আমার পাওনা টাকা চাওয়ায় রক্তাক্ত করে আহত করেছে তারা।
গত বৃহস্পতিবার (১২ মে) দুপুর দেড়টার দিকে হাসপাতাল চত্বরে আমাকে রড দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করা করেছে শাহ মখদুম মেডিকেল কর্তৃপক্ষ। এ সময় তারা আমার মুঠোফোন, মানিব্যাগ আর মােটর সাইকেল কেড়ে নেয় । যা এখন শাহমখদুম মেডিকেলে রয়েছে।
গত দুই বছর ধরে ওই মেডিকেলে আমি চাকরি করে আসছি। এক সময় এখানে কর্মরত ছিলেন।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজের বায়ােকেমেস্ট্রির স্বনামধন্য অধ্যাপক ডা. ইরফান রেজা। বেশ কিছু
দিন আগে তিনি হাসপাতাল ছেড়ে চলে যান। এর পর তাঁর সিল ও সাইন নকল করে পরীক্ষা-নিরীক্ষাগুলোর রিপাের্ট দেওয়া হতো, যার সবই ভুয়া।
একইভাবে আস্ট্রাসাউন্ডেরও ভুয়া রিপাের্ট দেওয়া হতাে হাসপাতালে। আমি বিষয়টি জানার পর এ নিয়ে হাসপাতালের এক পরিচালকের সঙ্গে কথা বলি আমি। পরে অনৈতিক এই কাজের প্রতিবাদ জানাই। এর পর থেকেই কর্তৃপক্ষ আমার ওপর ক্ষুব্ধ হয় । এই হাসপাতালে মাঝে মাঝেই স্বাস্থ্যকর্মী নিগ্রহের ঘটনা ঘটে। শুধু তাই নয়, কিছু দিন আগে একই কারণে হাসপাতালের মালিকের ভাইয়ের বউয়ের হাতে মারধরের শিকার হন এক নার্স। এ ঘটনায় ওই নার্স চন্দ্রিমা থানায় অভিযােগ দায়ের করেন। কিন্তু তদন্ত শুরুর আগেই চাপ প্রয়োগ করে মামলা মীমাংসা করতে বাধ্য করা হয় তাকে। পরবর্তীতে তিনি চাকরি ছেড়ে চলে যান।
আমিও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এই অন্যায়ের সুষ্ঠু বিচার ঢাই । দেশের সাংবাদিক ভাইদের মাধ্যমে
মাননীয় প্রধান, জেলা প্রশাসক ও প্রশাসনের কাছে আকুল আবেদন তাদের জালিয়াতি থেকে
রােগীদের বাঁচান। সেবকদের বঢ়ান এবং তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি
জানাচ্ছি।