বিচার বিভাগ পৃথকীকরনের দীর্ঘ এত বছরে ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সম্বন্ধে মানুষের ধারণা একেবারেই নগণ্য।

Reporter Name
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ২২ জুলাই, ২০২২
  • ৭৪ বার পঠিত

বিচার বিভাগ পৃথকীকরনের দীর্ঘ এত বছরে ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সম্বন্ধে মানুষের ধারণা একেবারেই নগণ্য।

নিজস্ব প্রতিবেদক।

কিছুটা পরিষ্কার করার নিমিত্তে….
২০০৭ সালের ১লা নভেম্বর বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের মাধ্যমে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পদটি সৃষ্টি করা হয়। এর ফলশ্রুতিতে জেলা প্রশাসকের সকল প্রকার বিচারিক ক্ষমতা পৃথক করে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের ওপর অর্পণ করা হয়।
চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হচ্ছেন জেলার প্রধান ম্যাজিস্ট্রেট।
ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের বিভিন্ন পর্যায়ের ম্যাজিস্ট্রেটগণ হচ্ছেন:

(১) চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট
(২) অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট
(৩) সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/ প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট
(৪) জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট

মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের বিভিন্ন স্তরের ম্যাজিস্ট্রেটগণ হচ্ছেন:

(১) চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট
(২) অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট
(৩) মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট/ প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট

চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বা তার দ্বারা নির্ধারিত আমলী আদালতের অধিক্ষেত্রের প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট ফৌজদারি কার্যবিধির ১৯০(১) ধারার বিধান মোতাবেক তার এখতিয়ারাধীন অঞ্চলে সংঘটিত যেকোনও অপরাধ আমলে নিতে পারেন। তিনি তার অধিক্ষেত্রের মধ্যে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং অপরাধ দমন করার জন্য যেকোনও আদেশ দিতে পারেন। পুলিশ তদন্ত সহ আইনের প্রয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যকলাপের বিবরণ সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট দাখিল করে।

এখতিয়ার ও ক্ষমতা

চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সর্বোচ্চ ৭ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করতে পারেন। ফৌজদারি কার্যবিধির ২৯(গ) ধারায় বলা হয়েছে, সরকার হাইকোর্ট বিভাগের সাথে পরামর্শক্রমে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে মৃত্যুদন্ড ছাড়া সকল অপরাধের বিচার করার ক্ষমতা অর্পণ করতে পারবে। উক্ত আইনের ৩৩(ক) ধারায় উল্লেখ আছে যে, ২৯(গ) ধারা ক্ষমতাবলে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মৃত্যুদন্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অথবা ৭ বছরের অধিক কারাদণ্ড ব্যতীত আইনে অনুমোদিত যেকোনও কারাদণ্ড প্রদান করতে পারবেন। অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের সাজা প্রদানের ক্ষমতা চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের সমান। অর্থাৎ তারাও সর্বোচ্চ ৭ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করতে পারেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ৫ বছর পর্যন্ত কারাদন্ডের আদেশ দিতে পারেন। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৩ বছর পর্যন্ত কারাদন্ডে প্রদানে সক্ষম। অপরদিকে, জেলা প্রশাসক সহ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ ২ বছরের বেশি কারাদণ্ড দিতে পারেন না।

জাস্টিস অব পিস

ফৌজদারি কার্যবিধির ২৫ ধারার বিধান মোতাবেক চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পদাধিকার বলে নিজ জেলার মধ্যে জাস্টিস অব পিস বা শান্তি রক্ষাকারী বিচারক হিসেবে ক্ষমতা প্রয়োগ করেন।

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর