রাজশাহীর তাহেরপুরে বৃদ্ধা কে ধর্ষণ মামলার আসামী গ্রেফতারে ব্যর্থ পুলিশ

বাগমারা প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১৬ আগস্ট, ২০২২
  • ১২১ বার পঠিত

বাগমারা প্রতিনিধিঃ

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর পৌরসভা এলাকায় ৭০ বছরের বৃদ্ধা ধর্ষণ মামলার আসামীকে এখনো পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পারেনি থানা পুলিশ। পুলিশ দায়িত্ব অবহেলা করে ওই বৃদ্ধার পরিবারকে দায়িত্ব দেন ধর্ষণকারীকে খুজে বের করার জন্য। এতে নির্যাতিত ওই বৃদ্ধার পরিবার ও এলাকাবাসির মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এবং ধর্ষণকারি আসামী গ্রেফতার না হওয়ায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ওই ধর্ষিতা ও তার পরিবার।

এর আগে ৭০ বছরের বৃদ্ধাকে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে (৫ আগস্ট ) শুক্রবার দুপুরে তাহেরপুর পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড চৌকিরপাড়া মহল্লায়। এঘটনায় (৭ আগস্ট) রবিবার বিকালে বাগমারা থানায় একটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩ এর ৯(১) ইচছার বিরুদ্ধে জোর পুর্বক ধর্ষণ করায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি দায়ের করেছেন ওই বৃদ্ধার মেজ মেয়ে মোছা: সুপুরা বেগম। বাগমারা থানায় দায়েরকৃত মামলা নং-১৩। মামলা দায়ের পর পুলিশ ওই বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে (৭ আগস্ট) রবিবার সন্ধ্যয়ি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রাসেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের ওসিসিতে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত ধর্ষক পলাতক রয়েছেন।

মামলা ও এলাকাবাসি সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার তাহেরপুর পৌরসভা চৌকিরপাড়া মহল্লার মৃত সুলতান কাজি খার ছেলে লম্পট লোকমান আলী ওরফে রুকু খা (৫৫) ৫ আগস্ট শুক্রবার সকালে তার প্রতিবেশি জনৈকা সত্তর বয়সী এক বিধবা নারীকে তার বাড়িতে চাল ঝাড়ার কাজের জন্য ডাক দেয়। এবং বিধবা সকাল থেকে দুপুর অবধি রুকুর বাড়িতে চাল ঝাড়ার কাজ করতে থাকেন। এসময় বেলা সাড়ে বারোটার দিকে লম্পট রুকু তার বাড়িতে বিধবাকে একা রেখে পার্শ্ববর্তী দক্ষিণ চকিরপাড়া মসজিদে জুম্মার নামাজ পড়তে যায়। এবং বেলা সোয়া দুইটার দিকে রুকু বাড়িতে ফিরে এসে বিধবাকে তার চাল ঝাড়ার মজুরী বাবদ কিছু চাল ও নগত ৩০ টাকা হাত ধরিয়ে দেন। এসব নিয়ে বিধবা বাড়ি থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় রুকু পিছন থেকে বিধবার হাত ধরে টেনে ঘরে মধ্যে নিয়ে গিয়ে মুখ বেধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এতে বিধবার কাপড়ে রক্তের দাগ লেগে যায় এবং সে অসস্থ হয়ে পড়ে। এই অবস্থায় বিধরা কোনরকমে ওঠে বাড়িতে গিয়ে শুয়ে পড়ে। এ সময় বাড়িতে থাকা তার মেয়ে মায়ের অসুস্থভাব লক্ষ্য করে এবং রক্তের দাগ দেখে তার কারণ জিজ্ঞাসা করলে বিধবা জানায় রুকু তার এই সর্বনাশ করেছে। এ সময় বিধবার মেয়ে স্থানীয় চিকিৎসক রনিকে খবর দিয়ে নিয়ে এসে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। ওই বৃদ্ধার ছেলে জানায়, পুলিশ দায়িত্ব অবহেলা করে আমার পরিবারকে দায়িত্ব নিয়ে ধর্ষণকারী রুকুকে খুজে বের করে পুলিশে খবর দিতে বলে। ভাই আমরা কথায ধর্ষণকারী রুকুকে খুজে পাবো। খুব গরীব মানুষ আমরা দিন আনি দিন খাই। তবে ধর্ষণকারীকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাহেরপুর তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ জিলালুর রহমানের ০১৯১৬ ২৬৩৫২০ নাম্বার মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বাগমারা থানার (ওসি) রবিউল ইসলাম জানান, আমি রাজশাহীতে ডি.আই.জি স্যারের মিটিংয়ে আছি পরে কথা হবে বলে তিনি ফোন কেটে দেন।

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর