মোঃ তহিদুল ইসলাম মণিরামপুর উপজেলা প্রতিনিধি
যশোর মণিরামপুর উপজেলা ১৩ নং খান পুর ইউনিয়নের বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের সাবেক উপজেলা আওয়ামী ওলামালীগের সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মফিজুর রহমানের বাড়িতে আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ্ব এস এম ইয়াকুব আলী,এসময় আলহাজ্ব এস এম ইয়াকুব আলী কে কাছে পেয়ে হাফেজ মফিজুর রহমান কেঁদে কেঁদে বলেন, আমি আওয়ামী লীগ করেছি,বড়ো পদে সততার সহিত দায়িত্ব পালন করেছি,,আমি গরীব হলেও কখনো অসৎ টাকা হাতে নেইনি।আমার অভাব অনাটনের সংসার,
তবুও একটি অসৎ টাকা হাতে নেইনি।
আজ আমি পথে পথে ভিক্ষা করে সংসার চালাই।আজ পর্যন্ত কোনো আওয়ামী লীগ নেতা আমাকে সহযোগিতা করেনি।কেও খোজ ও নেইনি,আমি জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের রাজনিতি করেছি দলের জন্য নিজের সংসারের কথা ভাবিনি,তাই আজ আমি ভিক্ষুক,।বলতে বলতে দু চোখ বয়ে কষ্টের পানি বেরিয়ে আসে।এসময় আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ্ব এস এম ইয়াকুব আলী তার হাতে নগত অর্থ তুলে দেন।সাথে সাথে এস এম ইয়াকুব আলীকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেলেন তিনি,তার কান্না দেখে অনেকে হতবাক হয়ে যায়। হাফেজ মফিজুর রহমান বর্তমানে তার শারিরীক অবস্থা মানষিক ভারসাম্যের মতো।তাকে অধিকাংশ সময় পায়ে ছিকল বেঁধে থাকেন তার পরিবার।যখন একটু সুস্থ মনে হয় তখনি তিনি ভিক্ষা করতে আসেন।এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এস এম আলহাজ্ব ইয়াকুব আলী বলেন, আমি আপনার পাসে আছি,যে কোনো প্রয়োজনে আমাকে খবর দিবেন।এমন মানবিক কাজের জন্য এলাকা বাসি সহ সোশাল মিডিয়া জুড়ে আলহাজ্ব এস এম ইয়াকুব আলী কে,সংবর্ধনা দিচ্ছেন অনেক।আলহাজ্ব ইয়াকুব আলী শুধু হাফেজ মফিজুর রহমানের পাসে দাড়াননি তিনি মণিরামপুরের হাজার হাজার পরিবারের কাছে মানবিক নেতা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন। এ বিষয়ে আলহাজ্ব একবারে বলেন আমি বিষয়টি সোশাল মিডিয়াতে দেখে জানতে পারি।
আমি জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের রাজনিতি করি,মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার আদর্শের রাজনিতি করি, কিন্তু আজ আমার কষ্টে বুকটা ফেটে যাচ্ছে, দীর্ঘ দিন যাবত হাফেজ মফিজুর রহমান কাকা আওয়ামী লীগের জন্য রাজপথে থেকেছেন আজ তিনি ভিক্ষুক,এটা আমাদের লজ্জা আমারা দেখেও না দেখার ভান ধরি।আমি এ বিষায়ে কয় এক সপ্তাহ ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখছি,আজ তার বাড়িতে এসে তাকে সামান্য সহযোগিতা করে নিজেকে, একটু হলেও শান্তনা দিতে পেরেছি।আমি হাফেজ মফিজুর রহমান কাকার পাসে আছি থাকবো ইনশাআল্লাহ।