শ্রীনগরে মিথ্যা অভিযোগের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৮নভেম্বর শুক্রবার বিকেল ৫টার সময় উপজেলার তন্তর ইউনিয়ন এর পাড়াগাঁও গ্রামে এ প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিতহয়।
উক্ত সমাবেশ এ রুসদী উচ্চ বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি এডভোকেট মোহাম্মদ আলী বলেন,২০১৭-১৯ সনে, নির্বাচিত ১১ জন সদস্যের গোপন ভোটের মধ্যে১০ জনের ভোটে নির্বাচিত হই।প্রথম মেয়াদে স্কুলের মাঠের গর্ত ভরাট, বিদ্যালয়ের বকেয়া লীজ মানি পরিশোধ করে বিদ্যালয়ের নামে পুনরায় নবায়ন, বিদ্যালয়ের মূল ভবনের সম্মুখে মঞ্চসহ শহিদ মিনার স্থাপন, শিক্ষকদের চাহিদা অনুযায়ী কমন রুমের সংস্কার করা, শিক্ষকদের বকেয়া পাওনা পরিশোধ, বিভিন্ন অনিয়ম দূর করে বিদ্যালয়টিতে সুন্দর পরিবেশ তৈরি করার ফলে পরবর্তী নির্বাচনে আমার প্যানেলকে অভিভাবকগণ সমর্থন দেওয়ায়, নির্বাচনে আমার প্যানেল সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়।
নির্বাচিত সদস্যদের গোপন ভোটে আমি পূনরায় সভাপতি নির্বাচিত হই। মহামারী করোণার মধ্যে কোনরূপ সরকারি অনুদান ব্যতীত বিদ্যালয়ের একটি বিশাল মাঠ ভরাট করি। মহামারী করোনা কালীন সময়ে নিয়মিত কমিটি করা সম্ভব না হওয়ায় এলাকার সর্বস্তরের অভিভাবক ও ম্যানেজিং কমিটির সর্বসম্মতি ক্রমে আমি এডহক কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হই। এডহক কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর বর্তমান প্রধান শিক্ষক যথাসময়ে খসড়া ভোটার তালিকা দিতে ব্যার্থ হওয়ায়, এডহক কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই আমি সেচ্ছায় পদ ছেড়ে দেই এবং নতুন এডহক কমিটির নিকট নিজে উপস্থিত থেকে ক্ষমতা হস্তান্তর করি। বর্তমান প্রধান শিক্ষকের বহু মাত্রিক অপকমের কারণে আমার পূববর্তী কমিটি তাকে বরখাস্ত করেছিল। প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে মামলা করায়, দীর্ঘদিন মামলা চলতে থাকায়, বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক না থাকায়, অন্য কোন বিদ্যালয়ে বর্তমান প্রধান শিক্ষক চাকরি যোগদানে ব্যর্থ হওয়ার, চাকরি ফিরে পেতে আমার নিকট পিতা-মাতা অসুস্থ বলে কাকুতি মিনতি করায় আমি মানবিক কারনে শর্ত সপেক্ষে তাকে আমার ২য় মেয়াদে পুনরায় নিয়োগ দেই। নিয়োগের এক বছরের মধ্যেই তার বিরুদ্ধে পুনরায় দূর্নীতি, শিক্ষক-ছাত্রদের সাথে দুর্ব্যবহার, অর্থ আত্মসাৎ ইত্যাদির অভিযোগ উঠলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ যাচাই বাছাই করার জন্য ৬ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়।
উক্ত কমিটির মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় কমিটির ৬ জনই অভিযোগের প্রতিবেদনে সাক্ষর করে। মানেজিং কমিটি যখন তার বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করায় ব্যস্ত তখন সে নিজের অপরাধকে আড়াল করতে কমিটির সভাপতি সহ অন্যান্য সদস্য ও শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকে। বর্তমান প্রধান শিক্ষকের বিভিন্ন অপকর্ম আমার নিকট প্রকাশ পাওয়ায় আমি যাতে বিদ্যালয়ে কখনোই সভাপতি হিসেবে আসতে না পারি সেজন্য সে তৎপর হয়ে তার অনুগত বাধ্যগত লোক দিয়ে আমার বিরুদ্ধে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মহোদয়ের নিকট সম্পূর্ণ মিথ্যা,বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগ আনয়ন করেছে। আমি এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
উক্ত প্রতিবাদ ও আলোচনা সভায় অপস্থিত ছিলেন তন্তর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জাকির হোসেন,তন্তর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান লন্ঠু, সাবেক ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন হৃদয়,নুরুজ্জামান বেপারী,সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল কুদ্দুস,মোঃআবুল বেপারী,আবুল হোসেন শেখ, সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ।