ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ
চলতি আলু ও গম মৌসুমের শুরুতেই ঠাকুরগাঁও জেলায় রাসায়নিক সারের সিন্ডিকেট তৈরি করছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। ফলে ডিলারের কাছে সার কিনতে গিয়ে চাষিরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন দাম নিয়ন্ত্রণে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না, রুহিয়া সহ ঠাকুরগাঁও জেলার প্রতিটি উপজেলার সর্বত্র ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে সারের কৃত্রিম সংকট চলছে । এতে ভরা মৌসুমে কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
সোমবার ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ২ নং আখানগড় ইউনিয়নে সারের জন্য শতশত কৃষক স্থানীয় কৃষি উপ-সহকারী অরুণ চন্দ্র রায় ও মনির হোসেনকে চার ঘন্টা ধরে অবরুদ্ধ করে রাখেন সার না পাওয়া শতশত কৃষক খবর পেয়ে সংবাদ কর্মীরা গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।
ইউনিয়নের কৃষক মানিক, আনোয়ার, হাবির, মোকলেছুর, জসিম সহ শতশত কৃষক সার না পেয়ে কৃষি উপ-সহকারী অরুণ চন্দ্র রায়ের উপর ক্ষিপ্ত হন এবং সারের জন্য দাবি করেন। কৃষকদের দাবি কৃষি উপ-সহকারী সাধারণ কৃষককে শুধু স্লিপ দেন আর বেশি মুনাফার জন্য সার গোপনে নিয়ে যায় সাব ডিলার মোকলেছুর রহমানের দোকানে সহ স্থানীয় সারের দোকানে কৃষকরা আরও বলেন ডিলার ও কৃষি উপ-সহকারী যোগসাজশে ডিলারের সার কালোবাজারে বিক্রি করে আর বলে সারের সংকট। আমরা খোলাবাজারে সার কিনতে গেলে গুনতে হচ্ছে দিগুণ দাম আবার খোলাবাজারে সারের এমন লাগামহীন দাম বাড়ার পরও এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়নি স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। যার কারণে বিক্রয়ের রশিদ ছাড়াই ইচ্ছেমতো সারের দাম নিচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় সর্বত্র গম ও আলুর রোপণ শুরু হয়েছে। সেই সুযোগে কিছু অসাধু সার ব্যবসায়ী কৃষকদের কাছে সার সঙ্কটের কথা বলে সরকারের নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অধিক হারে বিভিন্ন ধরনের সার বিক্রিয় করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে কৃষক সার কিনতে হিমশিম খাচ্ছে। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে সরকার নির্ধারিত দামকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে একশ্রেণীর অসাধু সার ব্যবসায়ী চড়া দামে সার বিক্রি করছে।
ইউরিয়া ও টিএসপি প্রতি বস্তা সরকারিভাবে ১১০০ টাকা করে বিক্রি কথা থাকলেও ব্যবসায়ীরা বিক্রয় করছে ১১৫০ -১২০০ টাকায়।
আবার এমওপি( পটাশ) কালোবাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৫০০ থেকে ১৫৫০ টাকা করে প্রতি বস্তা।
আখানগর ইউনয়নের হাসানজাহান ট্রেডার্সের সাব সার ডিলার মকলেছুর রহমান সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করলে তিনি সাক্ষাৎ দিতে রাজি হন নি এবং ফোন রিসিভ করেননি।
কৃষি উপ-সহকারী অরুণ চন্দ্র রায় বলেন, আমি কৃষকদের মাঝে সারের জন্য স্লিপ সরবরাহ করছি কিন্তু চাহিদা মাফিক সার মজুদ না থাকায় সব কৃষক সার পাচ্ছে না এতে আমি কি করব।
স্লিপ থাকলে সার পাচ্ছে না তাহলে আপনি কি সারের মজুদ অনুযায়ী সারের স্লিপ সরবরাহ করেন না এমন প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে এড়িয়ে যান অরুণ চন্দ্র রায়।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষ্ণ রায় জানান, তার জানা মতে সদর উপজেলার বাজারে কেউ সারের দাম বেশি নিচ্ছে না। যদি কেউ নেয় তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply