আকাশ সরকারঃরাজশাহী অফিস চাঁদা না পেয়ে হয়রানীর অভিযোগে কাটাখালী থানার এসআই আজাহারের বিরুদ্ধে পুলিশ কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন মোঃ রাকিবুল হাসান সাগর (২৫) নামের এক যুবক।
আরএমপি পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ে গিয়ে এ অভিযোগ জমা দেন ওই যুবক।
ভ‚ক্তভোগী যুবকের নাম মোঃ রাকিবুল হাসান সাগর, সে রাজশাহী মহানগরীর কাটাখালী থানার হরিয়ান উত্তর পাড়া গ্রামের মোঃ মহসিনের ছেলে।
ভুক্তভোগী যুবক জানায়, সে তার বাবার সাথে টাইলস্রে কাজ এবং জমিতে কৃষি কাজ করে। গত অনুমানিক ২৫/৩০ দিন আগে ০১৫৭১-৭২৭৩১৩ নম্বর থেকে যুবকের মোবাইলে ০১৭১৭-৭৮৫১৫২ নম্বরে ফোন দেন কাটাখালী থানার এসআই আজাহার। ওই সময় যুবক ফোন রিসিভ করলে নিজেকে কাটাখালি থানার এসআই আজাহার পরিচয় দিয়ে বলেন, তোর নামে থানায় পূর্বের মাদকের মামলা রয়েছে। এখন মাদকের উপর অভিযান চলছে। ৫০ হাজার টাকা নিয়ে আমার সাথে দেখা করবি। না হলে তোকে তোর বাড়ি থেকে ধরে এনে মাদকের মামলা দিয়ে কোর্টে চালান দিবো। যুবক তার সাথে যোগাযোগ না করলে পরে ফোন দিয়ে ৩০ হাজার টাকা দাবি করেন। যুবক সাফ জানায়, আমি গরিব মানুষ টাকা দিতে পারবো না। তারপরও নাছোড় বান্দা এসআই আজাহার টাকা নিবেই। প্রতিদিন ২/৩বার ফোন দিয়ে হুমকি-ধামকি করে যুবককে।
প্রতিকার পেতে যুবক বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তির দারস্থ হয়। এ নিয়ে সোস্যাল মিডিয়ায় (ফেসবুক) আতঙ্কিত যুবকের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেই ভিডিওকে কেন্দ্র করে একাধিক অনলাইণ নিউজ পোর্টাল এবং জাতীয় দৈনিক ও স্থানীয় পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এতে এসআই আজাহার যুবকের উপর ক্ষুদ্ধ হয়ে বিভিন্ন সময় সাদা পোশাকে পুলিশ পাঠিয়ে তাকে খোঁজাখুজি করছেন বলে অভিযোগ যুবকের।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে (১২ ডিসেম্বর) ভ‚ক্তভোগী যুবক প্রতিকার চেয়ে আরএমপি পুলিশ কমিশনার বরাবর একটি অভিযোগ জমা দিয়েছেন।
এর আগে কাটাখালি থানার চৌমহিনী গ্রামে আলাউদ্দিন নামের এক সাংবাদিককে রাস্তায় আটকায় এসআই আজাহার। ওই সময় তাকে মাদক মামলার হুমকি দেয়। সাংবাদিক পরিচয় দেয়ার পর তাকে জোর করে থানায় নিয়ে যাওয়ার চেস্টা করে। পরে ওই সাংবাদিক তাকে এবং তার সাথে থাকা এক এসআইকে অনুরোধ করে এক হাজার টাকা দিয়ে মুক্তি পায়।
এদিকে, চৌমহিনী গ্রামের একাধিক স্থানীয়রা জানায়, কাটাখালি থানার একমাত্র অত্যাচারী এসআই হলেন আজাহার। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই এলাকার স্থানীয় এক ব্যক্তি জানায়, এসআই আজাহারের অত্যাচারে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ। তাকে কাটাখালি থানা থেকে প্রত্যাহার করা হলে এলাকার লোকজন খিচুড়ী রান্না করে সিন্নি বিলি করবে।
জানতে চাইলে কাটাখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জানায়, যুবকের কাছে এসআই টাকা চেয়েছে এটা সত্য না। তিনি আজাহারকে সাপোর্ট করে বলেন, সাগর মাদক সিন্ডিকেটের লোক।
তবে হরিয়ান এলাকায় গিয়ে যুবক সাগরের বিষয়ে এসআই এবং ওসি’র দেওয়া বক্তব্যের কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি।
জানতে চাইলে, কাটাখালি থানার এসআই আজাহার বলেন, যা ইচ্ছা লিখেন। আমার কোন সমস্যা নাই। অর্থাৎ সুপ্রিম পাওয়ার তার।
Leave a Reply