মুন্সীগঞ্জে কাউন্সিলরের লোকজনের হামলায় সাংবাদিক সহ আহত ৪
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
মুন্সিগঞ্জের সদর উপজেলার উত্তর ইসলামপুর এলাকায় এক সাংবাদিকসহ অন্তত ৪ জন ব্যাক্তিকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করা হয়েছে। লুটপাট করা হয় হয়েছে ১০ টি দোকানে।মঙ্গলবার রাত ১০ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।অভিযোগ উঠেছে মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মকবুল হোসেনের লোকজন এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
আহত ব্যাক্তির নাম শাখাওয়াত হোসেন মানিক (৪০)। তিনি দৈনিক বর্তমান দিনের মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন।
এঘটনায় আহত মানিককে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও অন্য আহতরা হলেন, মো শাহাবুদ্দিন(৫৫),সিয়াম(১৯) আরো এক মাদরাসা শিক্ষার্থী।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে তিন নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মকবুল হোসেনের সহযোগী জসিম ওরফে জসু,ফারুখ মিয়া,মো.হৃদয়,আকাশ শ্রাবন হাওলাদা, ট্রলার চালক বাদশা মিয়া সহ ২০-২৫ জনের একটি দল উত্তর ইসলামপুর এলাকায় প্রবেশ করে। তারা পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ওই এলাকার বাবুল মিয়ার ছেলে ইমনকে ধরে নিয়ে যেতে চায়। সে সময় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা দুই পক্ষকে
আলাদা করে দিয়ে যার যার বাড়িতে চলে যেতে বলেন। ঘন্টা খানিক পর রাত সাড়ে ৯ টার দিকে কাউন্সিলর মকবুল হোসেনের ৭০-৮০ জনের একটি একটি দল গুলি করতে করতে ইসলামপুর এলাকায় প্রবেশ করে। ওই এলাকার বাজারের দোকানপাট ভাঙচুর ও লুটপাট চালায় মানুষকে মারধর করা শুরু করে। এক পর্যায়ে সাংবাদিক মানিকের দোকানে প্রবেশ করে তাকে বেদম লাঠিপেটা ও চাপাতি দিয়ে কোপ দেয়।স্থানীয় লোকজন ছুটে এলে তারা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। পরে আহত মানিককে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। অন্য আহতরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নেন।
আহত সাংবাদিক শাখাওয়াত হোসেন মানিক জানান,মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের নির্দেশে আমাদের এলাকায় হামলা চালায়। প্রথম দিকে হামলাকারিদের সবার মুখ বাঁধা ছিল।তারা বিভিন্ন দোকানে লুটপাট চালায়।আমি তাদের কয়েকজনকে চিনে ফেলি।এসময় তারা আমাকে মেরে ফেলার জন্য বেদম পেটায়মাথায় কোপায়। স্থানীয় লোকজন ছুটে এলে সবাই পালিয়ে যায়।
অভিযোগের বিষয়ে তিন নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মকবুল হোসেন বলেন, আমি অসুস্থ। কেউ ষড়যন্ত্র করে আমার লোকদের নামে মিথ্যা বলছে।
এ বিষয়ে মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারিকুজ্জামান বলেন,মারামারি ঘটনার খবর পাওয়ার সাথে সাথে সোমবার রাতে পুলিশ পাঠানো হয়। এ ঘটনায় এখনো কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি।অভিযোগ পেলে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।