1. admin@onakanthirkantho.com : admin :
  2. editor1@raytahost.com : বার্তা বিভাগ : বার্তা বিভাগ
  3. banhlarodikar69@gmail.com : Manun Mahi : Manun Mahi
শনিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৫০ অপরাহ্ন

কারাগারে আলাউদ্দীনের চেরাক; “ঠিকাদার সুমন” এক গরুতেই কপাল খুললো

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২৩
  • ৬৯ বার পঠিত

মোঃ শহিদুজ্জামান সোহেল রাজশাহী 

 

রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে দুর্নীতি, অনিয়ম, নিম্নমানের খাবার সরবরাহ, পছন্দের ঠিকাদারকে বছরের পর বছর ধরে কাজ পাইয়ে দেয়া, চাকরী বাণিজ্য, বদলী সংক্রান্ত বিষয়ে অর্থের লেনদেন, মাদক বানিজ্য সহ বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম, দুর্নীতি পুরো কারগারে নিত্য দিনের ঘটনা।

সম্প্রতি রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে মোঃ সুমন নামের এক ঠিকাদারের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য পাওয়া গেছে।

ডিআইজি বজলুর রশিদ রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে দায়িত্বে থাকা কালীন ঠিকাদার সুমন তাকে ১লাখ ৮০ হাজার টাকা মূল্যে একটি গাভী

রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে দুর্নীতি, অনিয়ম, নিম্নমানের খাবার সরবরাহ, পছন্দের ঠিকাদারকে বছরের পর বছর ধরে কাজ পাইয়ে দেয়া, চাকরী বাণিজ্য, বদলী সংক্রান্ত বিষয়ে অর্থের লেনদেন, মাদক বানিজ্য সহ বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম, দুর্নীতি পুরো কারগারে নিত্য দিনের ঘটনা।

সম্প্রতি রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে মোঃ সুমন নামের এক ঠিকাদারের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য পাওয়া গেছে।

ডিআইজি বজলুর রশিদ রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে দায়িত্বে থাকা কালীন ঠিকাদার সুমন তাকে ১লাখ ৮০ হাজার টাকা মূল্যে একটি গাভী উপহার হিসেবে দেন। সেই থেকে আর পেছনে তাকাতে হয়নি ঠিকাদার সুমনকে। আজ আবদি কারাগারে ডাউল, সবজি, মাছ, মাংস সাপ্লাই দিচ্ছেন। তিনি অতি নিম্নমানের খাবার সাপ্লাই দেয়ার পরও অজ্ঞাত কারনে আজ অবদি তিনিই কারাগারে সাপ্লাইয়ের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া সিনিয়র জেল সুপার হালিমা ও জেলার হাবিবুর রহমান দায়িত্বে থাকা কালিন পুরোনো বেশ কিছু গাছ কর্তন করেন। এছাড়াও ঠিকাদার সুমন কারাগারে চাকরি দেয়ার নামে একাধিক মানুষের কাছে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এদের মধ্যে একজন ভূক্তভোগী সাবেক (অবঃপ্রাপ্ত) সুবেদার মোঃ শহীদুল ইসলাম। তার এক আত্নীয়ের চাকরি দেওয়ার নামে ১৩ লাখ গ্রহণ করেন সুমন। গ্যারেন্টার হিসেবে তিনি নিজ নামীয় চেক ও স্ট্যাম্প দেন। কিন্তু আজ অবদি সাবেক (অবঃপ্রাপ্ত) সুবেদার শহীদুল ইসলামের আত্নীয়ের চাকরি বা তার কাছ থেকে নেয়া টাকা ফেরত দেননি ঠিকাদার সুমন।

সূত্রে জানা যায়, প্রতি ৬মাস পর পর কারাগারে টেন্ডার আহবান করা হয়। কিন্তু অজ্ঞাত কারনে দীর্ঘ এক যুগ ধরে কাজ পাচ্ছেন সুমন। এ নিয়ে অন্যান্য ঠিকাদারদের মধ্যে রয়েছে চরম ক্ষোভ। ঠিকাদার সুমন দাম্ভিকতা প্রকাশ করে বলেন, আমি ছাড়া কারাগারে অন্য কোন ঠিকাদার কাজ পাবে না। আমি কারাগারে যা বলবো, তাই হবে।

কারা সূত্রে জানা যায়, হিসাব রক্ষক মোঃ মহসিন আলী ও সহকারী প্রধান কারারক্ষী মোদাসিরুলের ছত্র-ছায়ায় কারা ঠিকাদার সুমন দীর্ঘদিন যাবৎ নিম্নমানের খাবার সাপ্লাই করে আসছে।

এছাড়া রয়েছে, কারা অভ্যান্তরে মাদকের চোরাচালান। দ্বিগুন মূল্যে গাঁজা, হেরোইন, ইয়াবা ট্যাবলেট, ঘুমের বড়ি সাপ্লাইয়ের ঠিকাদার জামাদার রবিউল। যাহার ব্যাচ নং-৩১৩২০। দীর্ঘ দিন ধরে এই অপকর্মের সাথে জড়িত থাকলেও অজ্ঞাত কারনে তিনি বহাল তবিয়্যতে রয়েছেন।

এর আগে, তিনি কারা হাসপাতালে রাজিব হোসেন হিরো নামের এক বন্দিকে রাখার কথা বলে ২০ হাজার টাকা দাবি করেন। পরে তার বাড়ি থেকে ১৫ হাজার টাকা দিলেও তাকে কারা হাসপাতালে রাখেন নি তিনি। এছাড়াও সে বিভিন্ন বন্দিদের বাড়ি থেকে টাকা বিনিময়ে বিভিন্ন সামগ্রী কারা অভ্যান্তরে পৌঁছে দেন। তার ব্যবহার আচারণ খুব খারাপ। ছোট-বড় সবাইকে তুই করে কথা বলেন।

জানতে চাইলে কারা ঠিকাদার সুমন বলেন, আমি দীর্ঘ ১৪/১৫ বছর যাবত কারাগারে ঠিকাদারী কাজ করছি। আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা। বর্তমানে ১০/১৫জন ঠিকাদার কারাগারে সাপ্লাইয়ের কাজ করে। চাকরির নামে সুবেদার শহীদুলের কাছে ১৩ লাখ টাকা নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, টাকা পরিশোধ করে দিয়েছি। আর মাত্র ৩০ হাজার টাবা পাবে।

তবে একাধিক সূত্রে জানা গেছে, টাকার বিনিময়ে চাকরি দেয়া এবং চাকরি না দিয়েও একাধিক ব্যক্তির কাছে টাকা আত্মসাৎ করেছে ঠিকাদার সুমন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর

Archive Calendar

All rights reserved © 2019
Design by Raytahost