মোঃ ইকবাল মোরশেদ, লাকসাম প্রতিনিধি:
কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানায় আজগড়া গ্রামে ব*লাৎকার করার অভিযোগে (খন্দকার সুপার) মার্কেটের স্বত্বাধিকারী শরিফুল ইসলাম (কওমি মাদ্রাসার) প্রতিষ্ঠাতা গ্রেফতার হয়েছে ।
লাকসাম-নাঙ্গলকোট রোডে আজগড়া গ্রামের একটি স্থানে একটি কওমী মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,এর আগেও এ মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা+ শিক্ষক শরিফুল ইসলাম অনেকবার এমন জঘন্য ঘৃণিত কাজ করেছিল। কিন্তু স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করে তা পার পেয়ে যায়।
কিন্তু আজ আর মীমাংসা করতে না পেরে নিজের দোষ স্বীকার করে নেয়।
ব*লাৎকার এবং সমকামিতা আমাদের দেশে বিদ্যমান আইনে শাস্তিযোগ্য খুবই অপরাধ। কিন্ত আমাদের দন্ডবিধিতে বলাৎকার এবং সমকামিতাকে অপরাধ হিসেবে সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করা হয়নি।
তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে বলাৎকার এর অভিযোগ আসলে দন্ডবিধির কোন ধারার অপরাধ বলে গণ্য হয়? ইংরেজ শাসনামল হতে আমাদের দেশে বলাৎকার এবং সমকামিতাকে দন্ডবিধির ৩৭৭ ধারার অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। যেখানে অস্বাভাবিক যৌন সম্পর্ক স্থাপনকে অপরাধ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। আইনপ্রণেতাগণ থেকে শুরু করে এদেশের সিংহভাগ মানুষই একজন নারী এবং পুরুষের মধ্যে যৌনসম্পর্ককেই স্বাভাবিক সম্পর্ক বলে গণ্য করে থাকে। সুতরাং এর বাইরে পুরুষ-পুরুষ বা নারী-নারী বা পশুর সাথে মানুষ যৌনসম্পর্ককে অস্বাভাবিক যৌনসম্পর্ক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
এ জন্য মানুষকে মেনে চলতে হয় বিভিন্ন নিয়মকানুন। বৈধ সম্পর্কের জালে আবদ্ধ হয়ে তৈরি করতে হয় স্থায়ী জীবনব্যবস্থা। মানুষ থেকে শুরু করে প্রাণীরাও যৌন চাহিদার খাতিরে বিপরীত লিঙ্গের দ্বারস্থ হয়। পূরণ করে নিজেদের যৌন কামনা। মানুষ তো দূরের কথা কুকুর বিড়াল পর্যন্ত সমলিঙ্গের সঙ্গে যৌনকর্মে অনীহা প্রকাশ করে। কেননা বলাৎকার বা সমকামিতা মানবসমাজ ও চতুষ্পদ জন্তুর কাছেও একটি ঘৃণিত কাজ। এর ক্ষতি ও অপকার সর্বজনস্বীকৃত। আল্লাহ এরশাদ করেছেন, আমি লুতকে প্রেরণ করেছি। যখন সে স্বীয় সম্প্রদায়কে বলল, তোমরা কি এমন অশ্লীল কাজ করছ; যা তোমাদের পূর্বে সারা বিশ্বের কেউ করেনি? তোমরা তো কামনাবশত; পুরুষদের কাছে গমন কর নারীদেরকে ছেড়ে। বরং তোমরা সীমা অতিক্রম করেছ। -সুরা আরাফ।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ধারা ৯(১)-এর ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে- যদি কোন পুরুষ বিবাহ বন্ধন ব্যতীত ১[ষোল বছরের] অধিক বয়সের কোন নারীর সহিত তাহার সম্মতি ব্যতিরেকে বা ভীতি প্রদর্শন বা প্রতারণামূলকভাবে তাহার সম্মতি আদায় করে, অথবা ২[ষোল বছরের] কম বয়সের কোন নারীর সহিত তাহার সম্মতিসহ বা সম্মতি ব্যতিরেকে যৌন সঙ্গম করেন, তাহা হইলে তিনি উক্ত নারীকে ধর্ষণ করেছেন বলে গণ্য হবেন৷ ধারা ২(ট) সংজ্ঞায় বলা হয়েছে – ‘‘শিশু’’ অর্থ অনধিক ১৬ বৎসর বয়সের কোন ব্যক্তি৷
শিশুদের কোনো লিঙ্গ ভাগ এখানে করা হয়নি৷ কিন্তু ধর্ষণের যে সংজ্ঞা আছে দন্ডবিধির ৩৭৫ ধরায়৷ তাতে ধর্ষণের শিকার কেবল যেকোনো বয়সী নারীই হতে পারেন৷
Leave a Reply