রাজবাড়ীর কালুখালী থানা পুলিশের কর্মতৎপরতায় ধর্ষণসহ খুন মামলার রহস্য উদঘাটন ও আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতের নাম মো. মাহফুজ মন্ডল (২১)। সে জেলার কালুখালী উপজেলার বি-কয়া গ্রামের পান্নু মন্ডলের ছেলে। গ্রেপ্তারের পর মাহফুজকে আজ বুধবার বিকালে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
এসময়ে সে আদালতে মামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে ফৌজদারী কার্যবিধি ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
জানা গেছে, গত ১৭ জুলাই দুপুরে কালুখালী উপজেলার পাতুরিয়া গ্রামের ফজলু মন্ডলের পাট ক্ষেতের ভেতরে একটি মরদেহের মাথার খুলি, চুল ও হাড়সহ বিভিন্ন অংশ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে থাকা অবস্থায় পাওয়া যায়। ওই মরদেহের পাশে পড়ে থাকা ভ্যানিটি ব্যাগ, পায়ের স্যান্ডেল, পরিহিত জামা ও ওড়না দেখে মৃতের পরিবার শনাক্ত করে যে, পড়ে থাকা মাথার খুলি, চুল ও হাড় দেখে ডিভোর্সি নারী জান্নাতুল নেছাকে (১৯) চিনতে পারেন স্বজনরা। জান্নাতুল জেলার কালুখালী উপজেলার পাতুরিয়া গ্রামের আবুল কাশের ব্যাপারী মেয়ে বলে জানা যায়।
সে গত ৪ জুলাই দিবাগত রাতে বাড়ির কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে গিয়েছিলেন।
ওই ঘটনায় জান্নাতুলের মা নাজমা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে কালুখালী থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর কালুখালী থানা পুলিশ নিবিড়ভাবে তদন্ত শুরু করে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সার্বিক দিকনির্দেশনায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. হাসানুর রহমান অভিযান পরিচালনা করে গত ৮ আগস্ট রাতে কালুখালী থানাধীন সাওরাইল ইউনিয়ন পরিষদের সামনে হতে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মো. মাহফুজ মন্ডলকে (২১) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মাহফুজকে বুধবার বিকালে আদালতে সোপর্দ করা হয়। ওই সময় সে আদালতে মামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে ফৌজদারী কার্যবিধি ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
Leave a Reply