স্বপন কুমার রায় খুলনা ব্যুরো প্রধান
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য,ও আইন বিচার বিভাগীয় স্হায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য অ্যাডঃ গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার এমপি বলেছেন ,বঙ্গবন্ধু হত্যার পরিকল্পনাকারীদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার হলেও এদেশের যারা হত্যার পরিকল্পনা করেছিল, তাদের বিচার হয়নি। কয়েকজন খুনি এখনো বিদেশে পালিয়ে রয়েছে। এখানেও ষড়যন্ত্র রয়েছে। তিনি আরো বলেন, ১৫ আগষ্ট শুধু এদেশের জন্যেই শোকের নয়, সারাবিশ্বের জন্যেও ১৫ আগষ্ট শোকের দিন। কারণ এদিনেই বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবার দুষ্কৃতকারীরা হত্যা করেছিলো।
এমপি ঝর্ণা বলেন দেশ ও জাতীর কল্যাণে শোককে শক্তিতে পরিণত করতে হবে।আগস্ট এর ১৫ আগস্ট সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মধ্যদিয়ে বাঙ্গালী জাতির জীবনে যে কলঙ্ক জনক অধ্যায় রচিত হয়েছে সেই দাগ পুরোপুরি মুছে ফেলতে আর কতবছরের সংগ্রাম ও ত্যাগ তীতিক্ষা প্রয়োজন তা একমাত্র ইতিহাস বলতে পারে।শুধু ৭৫ নয় বরং আগস্ট আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকায় আওয়ামীলীগের জনসভায় গ্রেনেড হামলায় ২৪ জন নিহত হন এবং সে সময়ের বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা সহ প্রায় ৩০০ নেত-কর্মী আহত হওয়ার ঘটনা।আগস্ট আমাদের আরও মনে করিয়ে দেয় ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সারাদেশে নিষিদ্ধ সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জিএমবি) কতৃক একযোগে সিরিজ বোমা হামলার ঘটনা।
ওইদিন সকালবেলা ১১ টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে দেশের ৬৩ জেলার প্রেসক্লাব,গুরুত্বপুর্ণ স্হাপনা ও ঢাকার ৩৪টি সহ সাড়ে ৪০০ স্পটে প্রায় ৫০০ বোমার বিস্ফরণ ঘটায় জঙ্গিরা।এমনকি হয়তো বিচ্ছিণ্ণ নয় ২০০৪ সালের ১২ আগস্ট সুদুর জার্মানীর মিউনিখের একটি এপারমেন্টেবাংলাদেশের খ্যাতিমান প্রথাবিরোধী লেখক হুমায়ুন আজাদের রহস্যময় মুত্যু কিংবা ১৯৯২ সালের ১৭ আগস্ট তৎকালীন জাতীয় সংসদসদস্য রাশেদ খান মেননের ওয়ার্কার্স পার্টি কার্যালয়ের সামনে দূর্বত্তদের হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়েগুরুতর আহত হওয়া।কাজেই আগস্টের ক্ষত একেবারেই শুকানোর নয়।বরং এই আগস্টকেই কেন দুস্কৃতিকারী চক্র বারবার আঘাত হানার জন্য বেছে নিয়েছে সেই ইতিহাস এখন ও অজানা।
Leave a Reply