সাখাওয়াত হোসেন,পাঁচবিবি প্রতিনিধিঃ
অভাবের সংসার অতিকষ্টে এসএসসি পাশ করলেও টাকার অভাবে পড়ালেখা বন্ধর পথে। পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়ার জন্য কলেজে ভর্তি হতে চায়। বাবা-মাকে বহুবার বলেও সদোত্তর মেলে না।
কোন উপায় না পেয়ে মনের কষ্টে বেঁচে নেয় আত্বহত্যার পথ। পড়ালেখা করে বড়কিছু হওয়ার স্বপ্ন ও প্রবল ইচ্ছে শক্তি থাকলেও অর্থের অভাবে সম্ভব হচ্ছে না। বড় হওয়ার স্বপ্নের সিঁড়িতে যখন কোনভাবেই সে উঠতে পারছে না এমতাবস্থায় আত্বহত্যার পথ বেঁচে নেয়। গভীর রাতে বাড়ির পাশে রাস্তায় দ্রতগতিতে ছুটে চলা গাড়ির নিচে ঝাঁপ দেওয়ার পরিকল্পনায় দাঁড়িয়ে প্রস্ততি নেয়।
কথায় আছে ’’রাখে আল্লাহ মারে কে” স্বপ্নবাজ ছাত্রটির প্রাণ রক্ষায় কাকতালীয় ভাবে উপস্থিত হয় জয়পুরহাটের পাঁচবিবি থানার ওসি মোঃ জাহিদুল হক। রাতের বেলা রাস্তার পাশে অল্প বয়সের ছেলেকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে ওসির মনে নানান প্রশ্ন জাগে। গাড়ি থেকে নেমে ছেলেটির নিকট যায় এবং জানতে চায় গভীররাতে রাস্তায় কেন ? এসময় সে অপকটে ওসির নিকট সব বলে। মানবিক ওসি জাহিদুল হক তার কলেজে ভর্তির সকল ব্যবস্থা করা হবে।
এখন বাড়িতে গিয়ে ঘুমাও আগামীকাল বাবা-মাকে নিয়ে থানায় আসবে। ছেলেটির মা নাম পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমার ৩ ছেলে বড় ছেলে যদিও অর্নাসে পড়ে তারও হয়ত বা টাকার অভাবে ওই পর্যন্তই শেষ। জমিজমা এক শতকও নেই ছোট্ট একটি পান-বিড়ির দোকানের আয়ে খেয়ে না খেয়ে ৫ সদস্যর সংসার কোন রকমে চলে তার উপর তাদের পড়ালেখার খরচ।
পাঁচবিবি থানার জনবান্ধব ওসি মহদোয় বলেন, প্রতিনিয়ত আমরা থানা পুলিশ মানুষের জানমালের নিরাপত্তায়, চুরি-ডাকাতি, ছিন্তাই ও চোরাচালান প্রতিরোধ সহ সমাজের সকল প্রকার অপরাধ ঠেকাতে রাস্তায় রাস্তায় টহল দিয়ে থাকি।
ওইদিন রাতে উপজেলার সীমান্ত এলাকা থেকে অন্য এলাকায় যাওয়ার জন্য সময় বাগজানা বাজারের অদূর্রে ছেলেটি অনেক রাতে রাস্তার ধারে বিষণ্য মনে দাঁড়িয়ে আছে। এতরাতে এখানে কি করছ জানতে চাইলে সে বলে, টাকার অভাবে কলেজে ভর্তি হতে পারছিনা এখন কি করব জানি না। অল্প বয়সের ছেলেটির আসল উদেস্য বুঁঝতে বাঁকি রইল না। মানুষ মানুষের জন্য বিষয়টি জেলা পুলিশ সুপার স্যার মোহাম্মদ নূরে আলম মহদোয়কে অবহিত করি। পরে পুলিশ সুপার স্যারের নির্দেশে ছেলেটির কলেজে ভর্তির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা আমরা থানা পুলিশ করেছি।
Leave a Reply