কচুয়া (চাঁদপুর) প্রতিনিধিঃ
চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার বারৈয়ারা গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা জালাল মিয়ার ক্রয়কৃত পৈত্রিক সম্পত্তির উপর বসতিঘর তুলতে গেলে, প্রতিপক্ষ আপন ভাই, খোকন মিয়া (৫০), জহিরুল ইসলাম (৪৫) ও আকতার হোসেন(৪০) সন্ত্রাসবাদী কিছু লোক নিয়ে, বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে বাঁধা সৃষ্টি করেন, তারা মানছেন না গ্রাম্য শালিসী।
স্থানীয় লোকজনের নিকট জানাযায়, জালাল মিয়া(৫২) পিতা মৃত.খোরশেদ আলম এবং প্রতিপক্ষ খোকন মিয়া, জহিরুল ইসলাম ও আকতার হোসেন তারা একই পিতা/মাতার সন্তান।
তবে বাদীপক্ষ জালাল মিয়া বলেন, আমার এই পৈত্রিক সম্পত্তিতে কয়েকবার বসতি স্থাপনা বা বসতিঘর তুলতে গেলে, আমার প্রতিপক্ষ ৩ভাই বিভিন্ন ভাবে বাঁধা বিঘ্ন ঘটায়। তার পূর্বে স্থানীয়ভাবে একটি শালিসী বৈঠকের মাধ্যমে আমার পক্ষে রায় দিয়ে, আমাকে শালিসী ব্যক্তিরা ৮০হাজার টাকা, প্রতিপক্ষ লোকদের দেওয়া হয়। পরে আমার পৈত্রিক সম্পত্তিতে বসতিঘর তুলতে গেলে, পুনরায় আবার আমাকে বিভিন্ন ভাবে আমার প্রতিপক্ষরা বাঁধা সৃষ্টি করে। এদিকে বসতিঘর তুলা আমার ভাড়াটিয়াকে গত ৫তারিখ শনিবার আনুমানিক সকাল ১০টার সময় বসতিঘর ছেড়ে দিতে বলেন, পরে ভাড়াটিয়াগন বসতিস্থলের মালিক কে বিষয়টি অবগত করেন। পরবর্তীতে আবার গত ১২তারিখ শনিবার আনুমানিক বিকাল ৪টার সময়, ৪/৫জন সন্ত্রাসী সাথে নিয়ে এসে পুনরায় বসতিঘর ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেন এবং ভাড়াটিয়ার ঘর আগুনে পোড়াইয়া ভিটি ছাড়া করবেন বলেও হুমকি প্রদান করে চলিয়া যায়। তবে তা সত্যতা বসতিঘরে থাকা লোকদের নিকট প্রশ্নের জবাবে পাওয়া যায়। অন্যদিকে বাদীপক্ষ জালাল মিয়ার ছেলে মো আল আমীন গত কয়েকমাস আগে প্রবাস থেকে দেশে আসেন, প্রতিপক্ষরা আল আমিন কে সুযোগমত প্রাণে মেরে ফেলবেন বলেও হুমকি প্রদানের বিষয় জানান।
তবে স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য আলাউদ্দিন মেম্বার এবং স্থানীয় লোকজন জামাল হোসেন, কামরুল হাসান ও আইয়ুব খান বলেন আমার জালাল মিয়ার পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া সম্পত্তির বিষয়ে অবগত আছি। এই সম্পত্তি নিয়ে বিগত কয়েকটি শালিসী বৈঠক ও হয়েছে, এই রায় জালাল মিয়ার পক্ষেই আসছে, রায় আসার পর জালাল মিয়া বসতি ঘর তুলতে আসলে প্রতিপক্ষরা বারবার সন্ত্রাস বাহিনী দিয়ে হুমকি প্রদান করছেন এবং তারা জালাল মিয়ার ভাড়াটিয়া কে ও বিভিন্ন ভাবে হুমকি প্রদান করে আসছেন। পরে প্রতিপক্ষদের কে পুনরায় শালিসী বৈঠকে ডাকলে ও তারা হাজির না হয়ে হুমকি প্রদান করছেন। আমরা চাই জালাল মিয়া সহ ওর প্রতিপক্ষরা যেনো একটি সুষ্ঠ্য সমাধানের মাধ্যমে আসেন।
এদিকে জালাল মিয়া নিজের পরিবার ও ছেলেকে সহ ভাড়াটিয়া কে আশ্রায়নে এবং সুষ্ঠ্য ও ন্যায় বিচারের স্বার্থে ফৌজদারি কার্যবিধি আইনে ১০৭/১১৭(সি) ধারায়, কঠিন মুচলেকায় আবদ্ধ করার লক্ষে, প্রতিপক্ষনের বিরুদ্ধে চাঁদপুর ফৌজদারি আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। যার আদেশ নং-১৩/২৩(৪).
Leave a Reply