1. admin@onakanthirkantho.com : admin :
  2. onakanthirkanthobd@gmail.com : SARKAR DBO-TV : SARKAR DBO-TV
বৃহস্পতিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৩, ০৮:০৭ পূর্বাহ্ন
Title :
ফেনী -০৩ আসনে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী দুবাই প্রবাসী একে আজাদ। বিরামপুরে আমাদের সময় পত্রিকার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত “বিজয়ী” এর উদ্যোগে ১০০ জন শিক্ষার্থীকে ফ্রি “ব্লক ও জুয়েলারী” প্রশিক্ষন প্রদান দিনাজপুর জেলার শ্রেষ্ঠ এস আই নির্বাচিত হলেন, চিরিরবন্দর থানার নুর আলম সিদ্দিক পিতার জীবন বাঁচাতে পুত্র লিভার দান করেও বাঁচাতে পারলেন না পিতাকে মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টুকে সিঙ্গাপুর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা। ঠাকুরগাঁওয়ে আমাদের সময় পত্রিকার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন ‘নূরি’ নাটকে আফফান মিতুল-মৌমিতা জুটি রাজগঞ্জ মোবারকপুর মহিলা আলীম মাদ্রাসার আবারও সভাপতি হলেন ইমরান খান পান্না, কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্যকে মশ্মিমনগর ইউনিয়নে এস এম ইয়াকুব আলীর পক্ষে নৌকার প্রচার-প্রচারণা

কুড়িগ্রামে নদির পানি কমলেও কমেনি দুর্ভোগ

  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ৭০ বার পঠিত

 

মোঃ হামিদুল ইসলাম
কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ

 

কুড়িগ্রামে গত এক সপ্তাহ ধরে ধরলা, ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমার ও তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ৭ হাজার পরিবার। পানি কিছুটা কমতে শুরু করলেও রাস্তাঘাট তলিয়ে যাতায়াত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন এলাকাকবাসী। গবাদি পশু নিয়ে অনেকে সরকারি আশ্রয়কেন্দ্র ও উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন।

এদিকে জেলায় ৫ হাজার ৬৮৩ হেক্টর জমির আমন ক্ষেত তলিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন কৃষকরা। অপরদিকে নদীভাঙনের মুখে পড়ে ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছেন অনেকে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টায় ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার ৬৮ সেন্টিমিটার ও দুধকুমার নদের পানি ১৩২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ২৩ সেন্টিমিটার ও ব্রহ্মপুত্র নদের চিলামারী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের মুসার চরের মতিয়ার রহমান বলেন, ছেলে-মেয়ে নিয়ে গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে খুব মসিবতে আছি। চারদিকে পানি, বের হওয়ার উপায় নাই। খাটের উপর মাঁচা করে রান্না করে খাচ্ছি। একবেলা রান্না করে দু’বেলা খাওয়া ছাড়া উপায় নাই। এ মুহূর্তে আমরা শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানি সংকটে ভুগছি।

একই এলাকার আছমা বেগম বলেন, ঘরে চাল আছে কিন্তু রান্না করার উপায় নাই। একবেলা ভাত রান্না করে তিনবেলা খাচ্ছি। পানিতে হাঁটাচলা করে সংসারের কাজ করতে গিয়ে হাত পায়ে ঘাঁ হচ্ছে। আমাদের খুব কষ্ট হচ্ছে।

চিলমারীর শাখাতি ও নয়ারহাট গ্রামের মো. আক্কাস আলী ও রহুল আমীন বলেন, গত এক সপ্তাহে আমাদের গ্রামে প্রায় ৫০-৬০টি ঘর-বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। চারপাশে পানি। বর্তমানে খোলা আকাশের নিচে আছি। বৃষ্টি হলে আমাদের খুব কষ্ট হয়।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রাসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত বলেন, উজানের ঢল আর বৃষ্টির পানিতে জেলায় প্রায় ৫ হাজার ৬৮৩ হেক্টর জমির আমন ধানক্ষেত তলিয়ে নষ্ট হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা প্রস্তুতের কাজ চলছে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, কুড়িগ্রামের সবগুলো নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা নেই, ফলে জেলার বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হবে।

কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ জানান, বানভাসী মানুষের জন্য জেলা ও উপজেলা প্রশাসনে যথেষ্ট বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এরইমধ্যে সেগুলো বিতরণের কাজ চলছে। বানভাসীদের দুর্ভোগ কমাতে জেলায় ১৮টি স্থায়ী ও ৩৬১টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর

Archive Calendar

All rights reserved © 2019
Design by Raytahost