1. admin@onakanthirkantho.com : admin :
  2. onakanthirkanthobd@gmail.com : SARKAR DBO-TV : SARKAR DBO-TV
বৃহস্পতিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৩, ০৯:৫১ পূর্বাহ্ন
Title :
ফেনী -০৩ আসনে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী দুবাই প্রবাসী একে আজাদ। বিরামপুরে আমাদের সময় পত্রিকার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত “বিজয়ী” এর উদ্যোগে ১০০ জন শিক্ষার্থীকে ফ্রি “ব্লক ও জুয়েলারী” প্রশিক্ষন প্রদান দিনাজপুর জেলার শ্রেষ্ঠ এস আই নির্বাচিত হলেন, চিরিরবন্দর থানার নুর আলম সিদ্দিক পিতার জীবন বাঁচাতে পুত্র লিভার দান করেও বাঁচাতে পারলেন না পিতাকে মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টুকে সিঙ্গাপুর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা। ঠাকুরগাঁওয়ে আমাদের সময় পত্রিকার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন ‘নূরি’ নাটকে আফফান মিতুল-মৌমিতা জুটি রাজগঞ্জ মোবারকপুর মহিলা আলীম মাদ্রাসার আবারও সভাপতি হলেন ইমরান খান পান্না, কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্যকে মশ্মিমনগর ইউনিয়নে এস এম ইয়াকুব আলীর পক্ষে নৌকার প্রচার-প্রচারণা

গোদাগাড়ীতে শিশুকে নিয়ে স্বামীর বাড়ির সামনে অনশন

  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ৬৩ বার পঠিত

রাজশাহী প্রতিনিধি:

 

রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে স্ত্রীর অধিকার আদায় করতে ও সন্তানের পিতার স্বীকৃতির জন্য ৭দিনের শিশুকে নিয়ে স্বামীর বাড়ির সামনে অনশন করছে এক নারী। তিনি সাফিউল্লাহর স্ত্রী ও কন্যা শিশু সন্তান বলে দাবি করে। স্ত্রীর ও সন্তানের স্বীকৃতির দাবিতে দুইদিন থেকে স্বামী সাফিউল্লার বাড়ীর সামনে অবস্থান করছেন স্ত্রী। সাফিউল্লার মা ও আত্মীয় স্বজনরাও তাকে বাড়ীর থেকে ঘাড়ধাক্কা দিয়ে তাড়িয়ে দিচ্ছেন এমন অভিযোগ করছেন ভ‚ক্তভোগী নারী। এমন চাঞ্চল্য ঘটনা ঘটেছে গোদাগাড়ী উপজেলার মাটিকাটা ইউনিয়নের উজানপাড়া গ্রামে।

সাফিউল্লার ওই গ্রামের মৃত মজিবুর রহমানের ছেলে। এর আগেও সাফিউল্লাহ এমন নারী ঘটিত একাধিক ঘটনা ঘটিয়েছে বলে এলাকাবাসী জানায়। ওই নারীর বাড়ী পাশ্ববর্তী সাহাব্দিপুর গ্রামে। ভূক্তভোগী নারী জাতীয় হেল্পলাইন ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে গোদাগাড়ী থানা পুলিশ হাজির হয়। পরে থানা পুলিশের পক্ষ থেকে কোন ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ফলে ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ওই নারী। এছাড়াও নারী ও শিশু নির্যাতনের স্বীকার হচ্ছেন বলে ওই নারী অভিযোগ করেন।
ওই নারী অভিযোগ করেন, এলাকায় থাকতে আমাদের পরিচয়। পরে ঢাকায় গিয়ে আমরা মৌলভীি দয়ে কালেমা বিয়ে করি। এক সাথে বসবাস করতে থাকি। বিয়ে রেজিস্ট্রি করা হয়নি। সরল বিশ্বাস ও ভালোবাসায় আমরা ঘর সংসার করতে থাকি। ঢাকার হেমায়েতপুর এলাকায় আমার স্বামী (সাফিউল্লা) তেল, গুড়া হলুদ-মরিচসহ বিভিন্ন জিনিনের দোকান ভাড়া নিয়ে ব্যবসা শুরু করে। সেই ব্যবসায় লোকসান হলে আমার বাড়ী থেকে টাকা পয়সা নিয়ে গিয়ে দেয়।
তিনি জানান, আমার গয়নাগাটি বিক্রি করে তকে সহযোগিতা করি। পরে সে আরও টাকা পয়সার জন্য চাপ দিতো থাকবো। শুধু এখানেই শেষ না বিভিন্ন সময়ে সে খারাপ আচরণ করতো। গত ৪ সেপ্টেম্বর সাফিউল্লার বাবা মারা গেলে সে বাসায় চলে আসে। আমার বাচ্চা হয় তার পরের দিন গত ৫ সেপ্টেম্বর সকালে। সে আর ঢাকা না যাওয়াতে আমি গত ১০ সেপ্টেম্বর দুপুরে আমার স্বামী সাফিউল্লার বাড়ীতে আসি। সেই সময় সে বাড়ীতে ছিলো। পরে সে সটকে পরে। সে আমাকে বিয়ে করেছে ও সন্তান হয়েছে এটা সে অস্বীকার করে। পরে তার মা-আত্মীয়রা আমাকে বাড়ী থেকে তাড়িয়ে দিতে চাই। নিরুপাই হয়ে রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে পুলিশ কে অবহিত করি।

তিনি আরও জানান, গোদাগাড়ী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে সব কিছু জানে। পুলিশ বলে বিয়ে করে থাকলে কাবিননামা সহ কাগজ পত্রাদি দেখাতে। আমার এইসব কাগজ না থাকায় পুলিশকে দেখাতে পারিনি। ঢাকায় বিয়ে হওয়াতে যে মৌলভীর কাছে বিয়ে করা হয়েছে সেখানে সব কিছু আছে ও সেই হুজুর সব বলবে। আমি কোন মিথ্যার আশ্রয় নিচ্ছি না। ঢাকার ৪ জায়গায় সে বাসাবাড়ী ভাড়া করে আমাকে নিয়ে থেকেছে এটা সবাই জানে।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, মাত্র ৭ দিনের শিশু বাচ্চা যদি তার না হয় প্রয়োজনে ডিএনএ পরীক্ষা করুক। যদি মিথ্যা হয় তাহলে যে সাজা আমাকে দিবে আমি তা মাথা পেতে নিবো।

ওই নারী আরো জানান, আমি মায়ের অনেক টাকা পয়াস নষ্ট করেছি বিধায় আমার মা আমাকে বাড়ীতে আশ্রয় দিচ্ছেন না। ফলে আমি এই ৭ দিনের শিশু সন্তান নিয়ে নিরুপাই হয়ে পড়েছি। এর বিচার আমি চাই। স্ত্রী-সন্তানের স্বীকৃতি না পেয়ে এখান থেকে যাবো না। এই ঘটনায় স্থানীয় ভাবে মাটিকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেল রানা, স্থানীয় ইউপি সদস্য তোজাম্মেলহক সহ ছেলের আত্মীয় স্বজনরা মিমাংসার জন্য বসেছিলো। সেখানে প্রথমে সফিউল্লাহ ওই নারীকে বিয়ে করেছে বলে স্বীকার করলেও ওই সন্তান তার নয় বলে দাবি করে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য তোজাম্মেল হক বলেন, আমরা খুব চেষ্টা করেছি বিষয়টি মিমাংসা করার। তবে বিয়ের কাগজপত্র না দেখাতে পারায় কিছু করা যায়নি। আমরা থানা পুলিকে সবকিছু অবগত করেছি তারাই কিছু করতে পারবে বলে জানান।

মাটিকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেল রানা বলেন, প্রথমে আমরা মনে করেছিলাম মেয়েটা হয়তো মিথ্যার আশ্রয় নিচ্ছে। তবে আমরা খোঁজ নিয়ে জেনেছি ছেলেটা ১৮ মাস বাড়ীতে ছিলো না। ছেলের বন্ধুবান্ধবরা জানিয়েছে তারা বিয়ে করেছে। আমরা স্থানীয়ভাবে বসে বিষয়টি মিমাংসা করার চেষ্ঠা করেছি। কিন্তু বিয়ের কাগজ পত্রাদি না থাকায় আইনি কোন পদক্ষেপ নিতে পারা যায়নি। তবে বোঝা যাচ্ছে ছেলেটা স্ত্রী-সন্তান অস্বীকার করে অন্যায় করছে। থানা পুলিশ শক্ত ভূমিকা নিয়ে এর সমাধান হয়ে যেতে পারে বলে জানান।

এই বিষয়ে গোদাগাড়ী মডেল থানার ওসি কামরুল ইসলাম বলেন, ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে ওই নারী অভিযোগ জানাইছিলো। আমি সেখানে পুলিশ পাঠাইছিলাম। ছেলে অস্বীকার করছে ওই নারী ও সন্তান কে। তাদের বিয়ে কাগজপত্রের প্রামাণও নেই। তাই আমরা সেভাবে কিছু করতে পারছিনা। ছেলেটাও বাড়ী থেকে সটকে পড়েছে। ঢাকায় বিয়ে করে ঘরসাংসার করেছে সেই ঢাকায় মামলা করতে পারবে বলে জানায়।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর

Archive Calendar

All rights reserved © 2019
Design by Raytahost