নিজস্ব প্রতিবেদক।
আমি বেশ কয়েকদিন ধরে শারীরিকভাবে অসুস্থ। সেদিন একজন ডাক্তার দরকার ছিল। ডাক্তারের দ্রুত সিরিয়াল পাওয়ার জন্য আমি এডিসি হারুন স্যারের হেল্প নেই।
আমি হাসপাতালে যাই। স্যারও আসলেন। আসার পর একজন ডাক্তার ম্যানেজ হলো। এরপর তিনি কিছু টেস্ট দিলেন।
হারুন স্যারের সঙ্গে গন্ডগোলের সময় আমি ইটিটির ভেতর ছিলাম। বাইরে এই ঝামেলা হচ্ছিল। আমার কানে প্রথম এসেছিল হারুন স্যারের কণ্ঠ- ‘ভাইয়া, আপনি আমার গায়ে হাত দিলেন কেন? আপনি তো আমাকে মারতে পারেন না। আমাকে মারছেন কেন?’
আমার হাজবেন্ড হারুন স্যারকে মারতে মারতে ইটিটি রুমের ভেতরে নিয়ে আসলেন। ওইসময় হারুন স্যার নিজের সেফটির জন্য আমি যেখানে দাঁড়ানো ছিলাম সেই রুমের কোনার দিকে দৌড়ে এসে দাঁড়ালেন।
এরপর আমার হাজবেন্ড তার সঙ্গে থাকা লোকজনকে বললেন- এই ভিডিও কর। এরপর সবাই ফোন বের করে ভিডিও করা শুরু করে। যখন তারা ভিডিও শুরু করে, তখন আমি আমার হাজবেন্ড এবং তার সঙ্গে থাকা লোকজনের সঙ্গে চিল্লাচিল্লি শুরু করছিলাম।
ওসময় আমার হাজবেন্ড আমার গায়ে হাত তুলে এবং স্যারকে বের করার চেষ্টা করছিলেন। তখন স্যারের কাছে বিষয়টি সেফ মনে হয়নি। এরপর স্যার কিছুক্ষণ অপেক্ষা করছিলেন। তখন হাসপাতালের সিকিউরিটি লোকজনও আসলেন। এর দশ পনেরো মিনিট পর হাসপাতাল থেকে ফোর্স আসলে তারা সেখান থেকে বের হয়ে যায়।
আপনি অসুস্থ, সেটা আপনার হাজবেন্ড আজিজুল হক জানত না? এমন প্রশ্নে সানজিদা বলেন, ‘আমি অসুস্থ, সেটা আমার হাজবেন্ড জানতেন। কিন্তু আমি যে সেদিনই ডাক্তার দেখাতে যাব, সেটা তিনি জানতেন না।
তারপরও কীভাবে আপনার স্বামী জেনেছেন আপনি হাসপাতালে আছেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার হাজবেন্ড কীভাবে জেনেছেন সেটা আমি জানি না।
আপনার কী মনে হয় তিনি আপনার পেছনে কাউকে দিয়ে নজরদারি করছেন?- জবাবে তিনি বলেন, ‘করতে পারেন। তবে আমি নিশ্চিত নই।’
সানজিদা বলেন, ওই ঘটনার পর আমার স্বামীর সঙ্গে আমার আর কোনো কথা হয়নি। আমি আমার অফিসেই আছি।
Leave a Reply