নিউজ ডেস্ক,
বরিশাল -ভোলা সেতুর কাজ দ্রুত শুরু করে ভোলা জেলার বর্তমান বেসরকারি হিসেবের ছাব্বিশ লক্ষ জীবিত কিংবা মৃত লোকের পরিবহন জীবন বাঁচানোর জন্য চীন, জাপান, নেদারল্যান্ড ও কোরিয়ার বিশ্ববাসী এগিয়ে আসার খবর পাওয়া গেছে। ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মানের আবেদন ভোলাবাসীর অনেক পুরাতন। ব্রীজ নির্মানের অর্থায়ন বা অর্থ প্রাপ্তি নিশ্চিত হচ্ছে না বলে, ব্রীজ নির্মানের কাজ শুরু করা যায় না। গত ষোল বছর ধরে রাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে এমন ব্রিফিং চাউড় দেওয়া হয়েছিল।
গত আওয়ামীলীগ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে, তিনি ভোলা-বরিশাল ব্রীজ নির্মানের আদেশ দিয়েছেন। ব্রীজ নির্মানের জন্য আঠারো হাজার কোঠি টাকা ব্যায়ের প্রস্তাব করা হয়েছিল। তা কেটে আবার সাড়ে সতের হাজার কোঠি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছিল। অর্থাৎ ভোলা-বরিশাল ব্রীজ নির্মানের নামে ইস্টিমিটের ভিতরেই বাংলাদেশের অর্থ বিভাগ পাঁচশত কোঠি টাকা চুরি করার সুযোগ অনুসন্ধান করেছে।
সাড়ে সতের হাজার কোঠি টাকা কাট-ছাট করে তের হাজার কোঠি টাকা ইস্টিমেট করা হয়েছিল। তার মানে দাড়ায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় ইস্টিমেট এর ব্যবধান সাড়ে চার হাজার কোঠি টাকা। যা দ্বিতীয় স্টিমিটের মধ্যে চুরি করার সুযোগ রেখেছে। তের হাজার কোঠি টাকার স্টিমিটের পরেও বাংলাদেশের অর্থ বিভাগ ও সেতু বিভাগ যৌথভাবে একটা স্টিমিট করেছিল। যেখানে ভোলা-বরিশাল ব্রীজ নির্মান ব্যায় ধরা হয়েছে এগারো হাজার কোঠি টাকা। তার মানে দাঁড়ায় যে, তৃতীয় স্টিমিটেও দুই হাজার কোঠি টাকা আত্মসাতের সুযোগ অন্বেষণ করেছে। সরকারী কাজের প্রতি পদে পদে যদি প্রজাতন্ত্রের লোকেরা চুরির সুযোগ খোঁজ করে তবে দেশে তো কোন কাজই হবেনা। সর্বশেষ হিসাব-নিকাশে পাওয়া গেছে, ভোলা-বরিশাল ব্রীজ নির্মানে টাকা লাগে এগারো হাজার কোঠি টাকা। আর গত পনের বছরের আওয়ামীলীগের বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়েছে প্রায় তিরানব্বই বিলিয়ন ডলার।মোটের উপর কথা দাড়ায়— বাংলাদেশের আওয়ামীলীগ সরকার গত পনের বছর ভোলা-বরিশাল ব্রীজ নির্মানের অর্থ জোগানোর কাজে নিয়োজিত ছিল না।
ছিল — অর্থ চুরি করার কাজে। অধুনা, জানা গেছে যে ইউনুস সরকারের আমলে জিডিপি সাত এর স্থলে তিন দশমিক দুই হয়েছে। তার মানে হলো- ইউনুস সরকারের আমলে ভোলা-বরিশাল ব্রীজ নির্মান তো দূরের কথা প্রতিবারের সূরা ফাতেহার সাথে তিনবার সূরা লাহাব (কূলহু……আহাদ) পড়ে তার নোবেল ও ডক্টরেট ডিগ্রীর সার্টিফিকেট ধূয়ে পানি খাওয়া ছাড়া ভোলাবাসীর কপালে আর কিছুই নাই। যদিও সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সেতু উপদেষ্টা মিস্টার ফাওজুল কবির খান ভোলা-বরিশাল ব্রীজ নির্মানের আগ্রহের কথা জানিয়েছেন। পাকিস্তানের রাজকীয় খান বংশীয়দের বংশের মিস্টার উপদেষ্টার নামের শেষে আছে খান এবং শুরুতে রয়েছে “ফাও”। ভোলা জেলার মানুষ যেই “ফাও” নামের মানে বা অর্থ করে ফালতু বা ফাটকি। ভোলাতে একজনের কোন কথা অন্য কোন জনের নিকট অসহ্য হলে সেই কথাকে “ফাও” বিশেষণ দিয়ে বলে “ফাও কথা”। কেননা- তিনি (উপদেষ্টা ফাওজুল) ইউনুস সরকারের একজন উপদেষ্টা। যিনি প্রধান উপদেষ্টা হয়েই রাষ্ট্রের নিকট নিজের দেনার ছয় শত ছিষট্রি কোটি টাকা রাজস্বের সিঁদেল চুরি করেছেন।
সেতু উপদেষ্টাকে ভোলাতে পাঠিয়ে ভোলা-বরিশাল ব্রীজ নির্মান ব্যবস্থা হতে কত টাকা চেটে পকেটস্ফীতি ঘটাতে পারবেন তারও খোঁজ নিয়েছেন। এমতাবস্থায় ভোলা-বরিশাল ব্রীজ নির্মানের জন্য ভোলা জেলাবাসী বিশ্ব দরবারে কূর্নিশপাৎ করা ছাড়া উপায় নাই। তারপরেও ভোলায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন সেতু উপদেষ্টা মো. ফাওজুল কবির খান। ভোলার ২০ লাখ হতে ত্রিশ লাখ মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্নের ভোলা-বরিশাল সেতু বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি, খনিজ সম্পদ এবং সেতু উপদেষ্টা মো. ফাওজুল কবির খান।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) ভোলা-বরিশাল সেতু বাস্তবায়ন জাতীয় কমিটির সদস্যদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এ আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মাণ অনেক ব্যয়বহুল। তবে কাটছাঁট করে এটির ব্যয় কমিয়ে হলেও একটি মাল্টিপারপাস সেতু নির্মাণ করার কাজ চলছে। এ সেতু নির্মাণে আমাদের আগ্রহ রয়েছে।
এটা নির্মাণ হলে ভোলা থেকে গ্যাস, বিদ্যুৎ নেওয়া যাবে। ভোলার সঙ্গে সারা দেশের সংযোগ স্থাপন হবে এবং ইন্টারনেট সুবিধা পাবে। ইতোমধ্যে এ সেতু নির্মাণের জন্য জাপানের একটি কোম্পানির সঙ্গে কাজ চলছে। আমরা আশা করি অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে ভোলা-বরিশাল সেতুর কাজ শুরু করা হবে। শুক্রবার ভোলায় ইলিশা-২ গ্যাস কূপ, শাহবাজপুর গ্যাস ফিল্ড বাপেক্স ও ২২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে রাত ৮টায় ভোলা সার্কিট হাউসে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় ভোলার গ্যাস আগে ভোলায়, তারপর অন্যত্র দেওয়ার দাবিতে পরিবর্তন যুব উন্নয়ন সংস্থার মানববন্ধন করার প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, আবাসিক সংযোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্তটি জাতীয়। পুনরায় আবাসিক সংযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হলে ভোলাসহ সারা দেশেই সংযোগ দেওয়া হবে। এ সময় তিনি বিসিক শিল্পনগরীসহ যেকোনো শিল্পকারখানায় গ্যাস সংযোগ দিতে সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানিকে নির্দেশ দেন। প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি, খনিজ সম্পদ ও সেতু সচিব, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যানসহ ভোলার জেলা প্রশাসক ও বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা। তবে ভোলা-বরিশাল ব্রীজ নির্মানের মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নয়নের চিত্র বদল হবে।
জিডিপি বৃদ্ধির গতি তৈরি হবে। সার্বক্ষনিকের জন্যই বাংলালাদেশের দক্ষিণাঞ্চল জীবন্ত থাকবে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে যে, নেদারল্যান্ডের রানী জড়িগুইস্টা সেরুটি বাংলাদেশের গাঙ্গেয় বদ্বীপ ভোলা জেলার উন্নয়নের জন্য ভোলা-বরিশাল ব্রীজ নির্মান করে দিতে চান।
চীন, জাপান ও কোরিয়াসহ আরো অনেক দেশের অনুরূপ অনুরুপ মনোভাব রয়েছে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরের চোর চক্রের চুরি করার সুযোগ বন্ধ করা গেলেই পি পি পি নীতিতে ভোলা- বরিশাল ব্রীজ নির্মান সম্ভব হতে পারে।
Leave a Reply