1. admin@onakanthirkantho.com : admin :
  2. editor1@raytahost.com : বার্তা বিভাগ : বার্তা বিভাগ
  3. banhlarodikar69@gmail.com : Manun Mahi : Manun Mahi
রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৯:০৪ পূর্বাহ্ন

বাউফলে ট্রাক ড্রাইভারকে খুন করে রড ছিনতাইয়ের ঘটনায় আটক-৪

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪
  • ১৫ বার পঠিত

কহিনুর পটুয়াখালী বাউফল প্রতিনিধিঃ

 

ট্রাক ছিনতাই ও ট্রাক ড্রাইভার মো. আল আমিন(৩৩) হত্যার ঘটনায় ছিনতাইকৃত ৯ মেট্রিকটন রড বাউফল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার(২৩এপ্রিল) রাতে বাউফলের দাসপাড়া বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় একতা এন্টারপ্রাইজের গোডাউনে বাউফল ও দশমিনা থানার পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে রডগুলো উদ্ধার করে । এ ঘটনায় একতা এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজারসহ ৪ জনকে আটক করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত ১৭ এপ্রিল চট্টগ্রামের আবুল খায়ের স্টিল কোম্পানীর কারাখানা থেকে ঢাকা মেট্রো-ট-১৬-৫১৩৮ নম্বরের ট্রাকটি ১৩ মেট্রিকটন রড নিয়ে বাউফলের কালিশুরী বাজারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। পরের দিন ১৮ এপ্রিল কালিশুরীর খান এন্টারপ্রাইজে রডগুলো আনলোড করার কথা। কিন্তু ১৮ এপ্রিল ট্রাকের ড্রাইভার আল আমিনকে ফোন করে বন্ধ পান তার মামা মোঃ সবুজ। ২০ এপ্রিল দশমিনার নদীতে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় অজ্ঞাত পরিচয়ের এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ। পরে মামা সবুজ খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন ওই লাশ তার ভাগ্নে আল আমিনের। ময়নাতদন্ত শেষে আল আমিনের লাশ পরের দিন চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর থানার আনন্দবাজার এলাকায় তার গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়।  এ ঘটনায় আলামিনের মামা সবুজ বাদি হয়ে অজ্ঞাত কয়েক ব্যক্তিকে আসামী করে দশমিনা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দশমিনা নৌ পুলিশের এসআই আল মামুন বলেন, ট্রাকের ড্রাইভার আল আমিনকে খুন করে ঘাতকরা ট্রাকসহ রডগুলো ছিনতাই করে। এরপর বাউফলের কালাইয়া বাজারের একতা এন্টারপ্রাইজের মালিক মাসুদ রানা ওরফে মাসুদ চৌকিদারের কাছে নগদ টাকায় বিক্রি করেন । তদন্তের একপর্যায়ে নিশ্চিত হয়েই রডগুলো মঙ্গলবার (২৩এপ্রিল) রাতে বাউফল ও দশমিনা থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে মাসুদের দাশপাড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকার গোডাইন থেকে জব্দ করে। রড পরিবহনের কাজে নিয়োজিত ট্রাকটি পুলিশ বাকেরগঞ্জের বোয়ালিয়া বাহাদুরপুর এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে দাশপাড়া বাস স্ট্যান্ডের কাছে একতা এন্টারপ্রাইজের গুদাম থেকে ছিনতাই হওয়া রড জব্দ করা হলেও রহস্যজনক কারণে মালিক মাসুদ রানাকে আটক করেনি পুলিশ। তবে পুলিশ  ওই এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার নান্নু(৪৫), কর্মচারী দিলিপ (৫০) ও শাহাদুলকে (৪০) এবং দশমিনা থেকে মজিবর নামের এক ঠিকাদারকে  জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।
ছিনতাইকৃত রড ক্রয়ের ব্যাপারে মাসুদ রানা সাংবাদিকদের বলেন, আমি মজিবর নামের এক ঠিকাদারের কাছ থেকে রডগুলো ক্রয় করেছি। তিনি (মজিবর) আমার পূর্ব পরিচিত। রডগুলো ছিনতাইকৃত কিনা তা আমার জানা ছিল না। আল আমিন হত্যাকান্ডের বিষয় আমি কিছুই জানি না। আমি নির্দোষ।
বাউফল থানার ওসি শোনিত কুমার গায়েন বলেন, বিষয়টি দশমিনা থানার। রড উদ্ধারের সময় আমরা সহযোগীতা করেছি মাত্র। এর বাইরে আর কিছুই বলতে পারছি না।
এ প্রসঙ্গে পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার মোঃ সাইদুল ইসলাম বলেন, মামলার তদন্ত এখন পর্যন্ত শেষ হয়নি। তদন্তে যারা অপরাধী প্রমানিত হবে তাদের প্রত্যেকেই আইনের আওতায় আনা হবে।

 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর

Archive Calendar

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০  
All rights reserved © 2019
Design by Raytahost